প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

শিক্ষাই জাতির সার্বিক উন্নয়নের সোপান। জাতির মেরুদন্ড সুগঠিত করার অন্যতম দায়িত্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। প্রয়োজনের তুলনায় সেই কাংঙ্খিত গুণে গুণান্বিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। ইসলামী জীবন দর্শন, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি জ্ঞান ভিত্তিক আদর্শ মুসলিম সুনাগরিকরূপে গড়ে তোলার সুযোগ এখনও সৃষ্টি হয়নি। এই নিদারুন আদর্শিক দৈন্যতা ও নৈতিক বিপর্যয় থেকে মুসলিম উম্মার ভবিষ্যৎ বংশধরকে রক্ষা করাসহ ইহলৌকিক শান্তি ও পারলৌকিক মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে অনগ্রসর গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েদের আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান সমৃদ্ধ ইসলামী জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে দেশের বিদ্যমান দ্বিমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে ইসলামী আদর্শ বুনিয়াদে “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর আলিম(উচ্চ মাধ্যমিক) মাদ্রাসা”টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

“চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর আলিম মাদ্রাসা”টি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলাধীন ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়নস্থ ঐতিহাসিক ‘চাঁচুয়া’ গ্রামে অবস্থিত। মাদ্রাসাটি ‘কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক’ এর সোনাইমুড়ি উপজেলার ‘ছাতারপাইয়া রাস্তার মুখ’ নামক স্থান হতে পূর্ব দিকে ‘সোনাইমুড়ি-ছাতারপাইয়া-কানকিরহাট’ সড়কের ‘কেশারপাড় রাস্তার মুখ(মুন্সীর দোকান)’থেকে ০৩-কি.মি দক্ষিণে নোয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের ‘কবিরহাট- ছমিরমুন্সী হাট-সোনাইমুড়ি (কেশারপাড়-ছিলোনীয়া-ছমিরমুন্সীর হাট) সড়ক’ এর পাশে অর্থ্যাৎ “ফেনী-চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক” এর মধ্যস্থিত ‘সেনবাগের রাস্তার মাথা’ কিংবা ‘ছমিরমুন্সীর হাট’ কিংবা ‘জমিদার হাট’ নামক স্থান হতে কম-বেশী ১০ কি.মি উত্তর-পশ্চিমে নোয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের ‘কবিরহাট- ছমিরমুন্সী হাট-সোনাইমুড়ি (কেশারপাড়-ছিলোনীয়া-ছমিরমুন্সীর হাট) সড়ক’ এর পাশে চাঁচুয়া গ্রামস্থ হাজী আলী আকবর কন্ট্রাকটর সাহেবের বাড়ির দরজায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত শান্ত নিবিড় ছায়াঘেরা মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠেছে। মাদ্রাসাটি ইউনিয়নের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ মাদ্রাসায় নূরাণী বিভাগ ও দাখিল পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগসহ আলিম(উচ্চ মাধ্যমিক) শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। এছাড়া উক্ত মাদ্রাসায়  একটি ৪-তলা আধুনিক দৃষ্টিনন্দন ভবন, একটি ৩-তলা আধুনিক ভবন, ১২টি কক্ষ বিশিষ্ট ২টি পৃথক সেমি-পাকা ভবন, আধুনিক শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ বিজ্ঞানাগার, গবেষণাধর্মী পুস্তক সমৃদ্ধ পাঠাগার, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আধুনিক আসবাবপত্র, ছাত্র হোস্টেল, খেলার মাঠ, মাদ্রাসার স্থাপনা সমেত অখন্ড ভূমির চতুর্দিকে আধুনিক সীমানা প্রাচীরসহ ২টি দৃষ্টিনন্দন মাদ্রাসা গেইট রয়েছে।

এ জনপদে যখন পবিত্র কুরআন শেখার কোনো সুব্যবস্থা ছিল না, তখন গ্রামীণ উন্নয়নের রূপকার বিশিষ্ট সমাজসেবক, ন্যায়নীতির প্রতীক, অন্যতম মেধা ও প্রজ্ঞার অধিকারী, বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব, স্বশিক্ষায় শিক্ষিত, অদম্য সাহসী ও ইসলাম দরদী বিদগ্ধ শিক্ষানুরাগী হাজী আলী আকবর কন্ট্রাকটর সাহেব বিগত ১৪-১০-১৯৬৬ ইং তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত ৫০১৩ নং একখানা দানপত্র দলিলমূলে ১২(বার) শতাংশ জমি দান করে ও নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে লোহা কাঠের খুঁটির উপর চৌ-ছালা টিনের ছাউনি ও হাফ-টিনের বেড়া বেষ্টিত করে (ঐ সময়ে কয়েকটি গ্রাম খুঁজলেও ১/২টি টিনের ঘর দেখা যেতো না) নিজ বাড়ির দরজায় সর্বপ্রথম “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর ফোরকানিয়া মাদ্রাসা” নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং একই সময়ে উক্ত ফোরকানিয়া মাদ্রাসা এর পশ্চিম পাশে একই ক্যাম্পাসে অপর ১২(বার) শতাংশ জমির উপর নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে লোহা কাঠের খুঁটির উপর চৌ-ছালা টিনের ছাউনি ও ফুলটিনের বেড়া বেষ্টিত করে চাঁচুয়া গ্রামের প্রথম জামে মসজিদ হিসেবে “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর জামে মসজিদ” নির্মাণ করেন । উল্লেখ্য, উক্ত মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর হতে হাজী আলী আকবর সাহেবের সহধর্মীনি মিসেস আফিয়া বেগম দীর্ঘ বহু বছর যাবৎ নিজে উক্ত মসজিদে সান্ধ্যকালিন কুপি-বাতি/হারিকেন জ্বালিয়েছেন এবং স্থানীয় মুসল্লীগণের মসজিদে পাঞ্জেগানা নামাজসহ জুম্মার নামাজ আদায়ের স্বার্থে ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় স্থানীয় গ্রামবাসীর ছেলে-মেয়েদের পবিত্র কুরআন শেখার সুব্যবস্থায় মসজিদের ইমাম সাহেব/মক্তবের শিক্ষককে নিজ বাড়িতে মৃত্যুর কয়েকবছর আগ পর্যন্ত জাগির রাখিয়া মসজিদ-মাদ্রাসার খেদমত করেছেন। এছাড়া মিসেস আফিয়া বেগম মৃত্যুর পূর্বক্ষণ পর্যন্ত (বিগত ০৫-০৫-২০২০ খ্রি. তারিখে মৃত্যুবরণ করেন) মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীগণকে মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়ন ও যাবতীয় কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করাসহ উক্ত মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নের খোঁজখবর রেখেছিলেন এবং মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নে আজীবন দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার জন্য তাঁর সন্তানগণের প্রতি নির্দেশনাসহ অছিয়ত করে গেছেন।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাজী আলী আকবর সাহেব ১৯৮৩-৮৪ সালে নিজ অর্থে উক্ত ফোরকানিয়া মাদ্রাসা গৃহটিকে একই স্থানের পশ্চিম দিকে সরিয়ে উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বিভাবে পশ্চিমমূখী করে সেমি-পাকা গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে উক্ত ফোরকানিয়া মাদ্রাসাকে “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর ইবতেদায়ী মাদ্রাসা”য় উন্নীত করেন। পরবর্তীতে ১৯৯০-১৯৯২ সালের মধ্যে হাজী আলী আকবর সাহেব উক্ত মাদ্রাসার অনুকূলে প্রায় ০২(দুই) কোটি টাকা মূল্যবানের ১.০০ একর জমি দান করে এবং ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গৃহটিকে একই স্থানের দক্ষিণ দিকে সরিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে লম্বালম্বিভাবে উত্তরমূখী করে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তৎকালিন প্রায় ১০(দশ) লক্ষ টাকা ব্যয়ে [ সহকারী কমিশনার (ভূমি), সেনবাগ, নোয়াখালীর ১২-০৮-২০১৮ ইং তারিখের স্মারক নং- ৩১.৪২.৭৫৮০. ০০০.৫১.০০৬.১৮-৩২৭ মূলে প্রদত্ত মূল্যায়ন সনদে উল্লিখিত ] ১০২ ফুট বাই ২০ ফুট সাইজের একটি সেমি-পাকা মাদ্রাসা গৃহ নির্মাণ করতঃ চেয়ার-টেবিল, বেঞ্চ ও আসবাবপত্র তৈরীক্রমে ০১-০১-১৯৯১ ইং সালে সেনবাগ উপজেলার ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়নের প্রথম দাখিল মাদ্রাসা হিসেবে “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর দাখিল মাদ্রাসা”টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং তাঁর একক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার স্মারক নং- নোয়া-১৭৬৪/৭ তারিখ: ১৯-০৮-১৯৯২ ইং মূলে ০১-০১-১৯৯২ ইং হতে “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর দাখিল মাদ্রাসা”য় দাখিল-৯ম শ্রেণী (সাধারণ বিভাগ) খোলার অনুমতি লাভ করে। অতঃপর হাজী আলী আকবর সাহেবের একক প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার স্মারক নং-রিক/৫৯২/৫ তারিখ : ২৩- ১০- ১৯৯৬ ইং মূলে ০১-০১-১৯৯৬ ইং হতে “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর দাখিল মাদ্রাসা”য় দাখিল-১০ম শ্রেণী (সাধারণ বিভাগ) একাডেমিক স্বীকৃতি অর্জিত হয়।

মাদ্রাসাটির শিক্ষা কার্যক্রম চলমান অবস্থায় হাজী আলী আকবর সাহেবের জীবদ্দশায় তাঁর সহধর্মীনির আদেশে তাঁর সুযোগ্য সন্তানগণ সর্বজনাব মোঃ আলী হায়দার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ (তৎকালিন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকা) সাহেবের সার্বিক সহযোগিতায় এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কাশেম খোকন, জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা, ঢাকার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রমে এবং মোঃ আলী হোসেন রতন এর স্থানীয় সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৫-০৪-১৯৯৯ ইং তারিখের স্মারক নং- শাঃ ৪/১জি-৫/৯৮/৬৭-শিক্ষা  মূলে তৎকালিন “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর দাখিল মাদ্রাসা”টি চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে একমাত্র দাখিল মাদ্রাসা হিসেবে সরকারী এমপিওভূক্তি লাভ করে। পরবর্তীতে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে নারীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে হাজী সাহেবের সুযোগ্য মেঝোপুত্র এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কাশেম খোকন, জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা, ঢাকার একক উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় এবং হাজী সাহেবের জ্যেষ্ঠ সন্তান জনাব মোঃ আলী হায়দার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সাহেবের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৮-০৭-২০১৩ খ্রি. তারিখের স্মারক নং-৩৭.০০.০০০০.০৭৫.০২.০০৫.১৩ সূত্রে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার ২৭-০২-২০১৪ খ্রি. তারিখের স্মারক নং-বামাশিবো/রিক/আলিম/অনুমতি/সেনবাগ-নোয়াখালী-০৫/০২মূলে “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর দাখিল মাদ্রাসা”টি “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর আলিম মাদ্রাসা”য় মান উন্নীত হয়ে ০১-০৭-২০১৩ খ্রি. হতে ৩০-০৬-২০১৬ খ্রি. পর্যন্ত ৩-বছরের জন্য আলিম (সাধারণ বিভাগ) পাঠদানের অনুমতি লাভ করে। অতঃপর মাদ্রাসার আালিম(সাধারণ বিভাগ) প্রাথমিক পাঠদানের অনুমতিকালিন উক্ত তিন বছর সময়সীমার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৫-০৬-২০১৬ খ্রি. তারিখের স্মারক নং-০৭.০০.০০০০.০৮৫.৮৬ এর সূত্রে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার ২১-০৬-২০১৬ খ্রি. তারিখের অফিস আদেশ নং-বামাশিবো/রিক/আলিমস্বীকৃতি/০১/১০ মূলে “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর আলিম মাদ্রাসা”য় ০১-০৭-২০১৬ খ্রি. হতে ৩০-০৬-২০২১ খ্রি. পর্যন্ত ০৫(পাঁচ) বছরের জন্য আালিম (সাধারণ বিভাগ) একাডেমিক স্বীকৃতি অর্জিত হয়। মাদ্রাসার আলিম শিক্ষা কার্যক্রম চলমান অবস্থায় বিদ্যমান সরকারী নীতিমালার আলোকে হাজী সাহেবের সুযোগ্য মেঝোসন্তান এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কাশেম খোকন, জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা, ঢাকা কর্তৃক আইনগত দাবী উত্থাপনসহ তাঁর জোরালো প্রচেষ্টায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং হাজী সাহেবের জ্যেষ্ঠ সন্তান জনাব মোঃ আলী হায়দার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সাহেবের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ১০-০৬-২০২১ খ্রি. তারিখের স্মারক নং-৫৭.০০.০০০০.০০০.১৬.০০১.২১.৭২ এবং বর্ণিত মন্ত্রণালয়ের একই তারিখ ও স্মারকে প্রতিস্থাপিত ২১-০৬-২০২১ খ্রি. তারিখের সংশোধিত পত্রের সূত্রে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার ২৭-০৬-২০২১ খ্রি. তারিখের স্মারক নং-রিক/নবায়ন/৩২৫২১১০৭৫১৩১/নথি নং/৭৮১৯ মূলে “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর আলিম মাদ্রাসা”য় আালিম (সাধারণ বিভাগ) একাডেমিক স্বীকৃতির মেয়াদ ০১-০৭-২০২১ খ্রি. হতে ৩০-০৬-২০৩১ খ্রি. পর্যন্ত ১০(দশ) বছর বৃদ্ধিক্রমে স্থায়ী স্বীকৃতি অর্জিত হয়। এতদ্ব্যতিত এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কাশেম খোকন, জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা, ঢাকার উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় এবং জনাব মোঃ আলী হায়দার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ (অবঃ) সাহেবের সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ০৭-০৪-২০২২ খ্রি. তারিখের স্মারক নং- ৫৭.০০.০০০০.০৫৬.৪৭.০০১.২২.১৬ সূত্রে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার ২৮-০৪-২০২২ খ্রি. তারিখের স্মারক নং-বামাশিবো/রিক/সেনবাগ-নোয়াখালী-০৫/০২ মূলে “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর আলিম মাদ্রাসা”য় দাখিল স্তরে ০১-০১-২০২২ খ্রি. তারিখ হতে ‘বিজ্ঞান বিভাগ’ খোলার অনুমতি লাভ করে। এছাড়া এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কাশেম খোকন, জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা, ঢাকা এবং জনাব মোঃ আলী হায়দার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ (অবঃ) সাহেবের দীর্ঘ কয়েক বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কঠোর সাধনার ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ০৬-০৭-২০২২ খ্রি. তারিখের স্মারক নং-৫৭.০০.০০০০.০৪০.৪০.০০২.২১.৭৩ মূলে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সারাদেশের ৮৫টি আলিম পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংগে “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর আলিম মাদ্রাসা”র আলিম স্তরও এমপিওভূক্ত হয়। বর্তমানে স্থানীয় জনসাধারণ, ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকগণের জোরালো দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে অত্র মাদ্রাসা পরিচালনা গভর্নিং বডির ০৭-০৯-২০২৩ খ্রি. তারিখের সভায় উক্ত মাদ্রাসাকে “চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা”য় মান উন্নয়ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ফাজিল স্নাতক (পাস) পাঠদানের অনুমতিসহ অধিভূক্তির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। হাজী আলী আকবর সাহেবের সহধর্মীনি তথা উক্ত মাদ্রাসা ও মসজিদের উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা মিসেস আফিয়া বেগমের দোয়ায় ও তাঁর সন্তানগণের প্রতি তাঁর প্রদত্ত নির্দেশনা ও অছিয়তের কারণে উক্ত মসজিদ-মাদ্রাসার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

-এ্যাডভোকেট এম.আবুল কাশেম খোকন